স্বাধীনতা দিবসের দিন দেবীর মন্দিরে উড্ডীন হয় জাতীয় পতাকা , দেবীর সামনে উচ্চারিত হয় বন্দেমাতরম ধ্বনি

14th August 2021 4:40 pm বর্ধমান
স্বাধীনতা দিবসের দিন দেবীর মন্দিরে উড্ডীন হয় জাতীয় পতাকা , দেবীর সামনে উচ্চারিত হয় বন্দেমাতরম ধ্বনি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ভবানী মাতার মন্দির রয়েছে ।এই মন্দিরে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । শুধু তাই নয় এই মন্দিরে দেবীর প্রধান মন্ত্র হচ্ছে বন্দেমাতরম জয় জয় ভারতবর্ষম ।স্বাধীনতা দিবসে মন্দিরে শোভা পায় ‘তেরঙা’ ভারতের জাতীয় পতাকা। কথিত আছে এই মন্দির এবং দেবী লোকবিখ্যাত ভবানী পাঠকের আরাধ্য দেবী কালিকার মন্দির। দেবী এখানে ডাকাত কালী হিসাবেই পূজিতা হন।  দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের অম্বুজা কলোনীতে ভবানী মাতার মন্দির। অম্বুজা কলোনীর এই মন্দির ভবানী মাতার মন্দির নামে খ্যাত। তবে দেবী কালিকা পুজীতা হন ভারতমাতা হিসাবে । কথিত আছে এই মন্দিরে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এসেছিলেন এবং পুজো দিয়েছিলেন । তবে নেতাজির এই মন্দিরে আসা নিয়ে কোন প্রামাণ্য তথ্য নেই ।শুধুমাত্র লোকমুখেই প্রচলিত রয়েছে এই তথ্য ।  তবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পুরোনো মন্দিরে দেবীমূর্তির পিছনে অখণ্ড ভারতের মানচিত্র রাখা হয়েছিল। তবে সেই মানচিত্রের দেখা এখন আর পাওয়া যায় না।কথিত আছে বিপ্লবীরা এই মন্দিরে আসতেন এবং এটাই ছিল তাঁদের গোপন আশ্রয়স্থল । এখানেই তারা পুজো দিয়ে গোপন সিদ্ধান্ত নিতেন বৃটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য । দেশের স্বাধীনতার জন্য উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের মানুষ । বিপ্লবী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে । তখন বিপ্লবীদের যাতায়াত বাড়তে থাকে এখানে। অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী এই মন্দিরে এসে আশ্রয় নিতেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের পরাস্ত করার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হত এখানে।বর্তমানে ভবানী মাতার মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে।বিপ্লবীদের পুজোর রীতি এখন পুরোনো মর্যাদায় পালন করা হয়। 
স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই ঐতিহ্য আজও জ্বলজ্বল করছে শিল্পনগরী দুর্গাপুরের বুকে।  মন্দিরের দরজা খোলা হয় বন্দেমারতম জয় জয় ভারতবর্ষম মন্ত্র উচ্চারণ করেই ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।